কাউনিয়া থানা

কাউনিয়া থানা (বরিশাল মেট্রোপলিটন)  আয়তন: ১১১.১৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৩৬´ থেকে ২২°৪৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২০´ থেকে ৯০°৩১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।

সীমানা: উত্তরে মুলাদী উপজেলা, দক্ষিণে কোতোয়ালী ও এয়ারপোর্ট থানা, পূর্বে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে এয়ারপোর্ট থানা।

জনসংখ্যা: ১২৭৩০০; পুরুষ ৬৬২৯৯, মহিলা ৬১০০১। মুসলিম ১১৬৪৫৯, হিন্দু ১০২৩২, বৌদ্ধ ৩০৯, খ্রিস্টান ২১ এবং অন্যান্য ২৭৯।

জলাশয় প্রধান নদী: তেঁতুলিয়া ও বরিশাল।

প্রশাসন: বরিশাল সদর উপজেলার ৬টি ওয়ার্ড (১, ২, ৩, ৪, ৫, ৭) এবং এই উপজেলার চরবাড়ীয়া, চরমোনাই ও শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন নিয়ে কাউনিয়া থানা গঠিত হয়।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়নমহল্লাজনসংখ্যাঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার (%)
শহরগ্রামশহরগ্রাম
৫৯৪০০৩৬৮৭২৬৪১১৪৫৭০.৮৫৫১.৯১
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়নআয়তন (বর্গ কিমি)লোকসংখ্যাশিক্ষার হার (%)
পুরুষমহিলা
ওয়ার্ড  নং ১০.৫৬৩০৫৮২২৬৮৬৯.৫৭
ওয়ার্ড  নং ২০.৫৯২৩৮৩১৯৮২৬৪.৭১
ওয়ার্ড  নং ৩০.৭৩৪০৪০৩৭১৭৭০.৪২
ওয়ার্ড  নং ৪০.৫৯২৬৯০২৪৩৬৭৫.৯২
ওয়ার্ড  নং ৫০.৪৭৪৭১৪৪৩৬৫৭০.১০
ওয়ার্ড  নং ৭০.৫৯৪৪১০৩৯৭৩৭৪.৩৮
চরবাড়ীয়া ইউনিয়ন ৩৪২২.৮৮১৫৬৫১১৫১৭৬৫৯.৫৩
শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন ৮৬৪১.৯২১১৫১৫১১০৯৮৪৬.৩৯
চরমোনাই ইউনিয়ন ৫১৪২.৮৩১৭৮৩৮১৫৯৮৬৪৯.৮৩

সূত্র : আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

শিক্ষার হার: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৪.১৩%; পুরুষ ৬৭.১৬%, মহিলা ৬১.১০%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ইসলামিয়া কলেজ, বি.পি.এড কলেজ, বেলতলা মাহমুদিয়া মাদ্রাসা।

উল্লেখযোগ্য স্থাপনা: তালতলী বন্দর, মহাশ্মশান ঘাট।

উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান:  আর আর এফ পুলিশ লাইন, পিডিবি-২।

KauniaThana.jpg

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস: কৃষি ২৮.০২%, অকৃষি শ্রমিক ৫.০১%, শিল্প ১.৮৬%, ব্যবসা ২১.৮১%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.৫৮%, নির্মাণ ৩.৮০%, ধর্মীয় সেবা ০.২৮%, চাকরি ১৭.৬০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৩.৪৫% এবং অন্যান্য ১২.৫৯%।

কৃষিভূমির মালিকানা: ভূমিমালিক ৫৩.৩৬%, ভূমিহীন ৪৬.৬৪%।

প্রধান ফল-ফলাদিব: আম, কাঁঠাল, লিচু, পেঁপে, জাম, নারিকেল, সুপারি।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ থানায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন: পাল্কি, গরু ও ঘোড়ার গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা: বিসিক শিল্পনগরী, খান সন্স টেক্সটাইল, লঞ্চ তৈরির ডক ইয়ার্ড।

কুটিরশিল্প: স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, কাঠের কাজ।

বিদ্যুৎ ব্যবহার: এ থানার সবক’টি মহল্লা ও মৌজা বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৫৩.৯১% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস: নলকূপ ৭৩.০৫%, পুকুর ৫.১৪%, ট্যাপ ১৬.৩৪% এবং অন্যান্য ৫.৪৭%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা: এ থানার ৫৪.৪৮% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৮.২৮% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৭.২৪% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র: টিবি হাসপাতাল, রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য।  [আক্তারউদ্দিন চৌধুরী]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কাউনিয়া থানা মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০১০।