বন্দর থানা (বরিশাল মেট্রোপলিটন)

বন্দর থানা (বরিশাল মেট্রোপলিটন)  আয়তন: ২৭৯.৮১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৩৬´ থেকে ২২°৪২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২১´ থেকে ৯০°৩১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।

সীমানা: উত্তরে কাউনিয়া থানা, দক্ষিণে বাকেরগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে মেহেন্দিগঞ্জ ও ভোলা সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে কোতোয়ালী থানা।

জনসংখ্যা: ৮৮৩৮৫; পুরুষ ৪৫২৬১, মহিলা ৪৩১২৪। মুসলিম ৮৪৩২০, হিন্দু ৩৯৯৩, বৌদ্ধ ১০, খ্রিস্টান ৩৪ এবং অন্যান্য ২৮।

জলাশয়: কীর্তনখোলা ও তেঁতুলিয়া নদী।

প্রশাসন: বরিশাল সদর উপজেলার চর কাউয়া, চাঁদপুরা, টুঙ্গিবাড়ীয়া, চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন এবং ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের অংশবিশেষ (দপদপিয়া মৌজা) নিয়ে বন্দর থানা প্রস্তাবিত।

২০০৭ সালে ৪টি থানা নিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয় এবং এ প্রস্তাবনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়নমহল্লাজনসংখ্যাঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার (%)
শহরগ্রামশহরগ্রাম
৪+১ (আংশিক)৪০-৮৮৩৮৫৩১৭-৫৫.৮৪
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়নআয়তন (বর্গ কিমি)লোকসংখ্যাশিক্ষার হার (%)
পুরুষমহিলা
চর কাউয়া ৪৩৩৮.৩৯১৬১৬৫১৪৭৫৯৫৩.০৯
চন্দ্র মোহন ৩৩২২.৯৩৭১৮৯৬৬৫৭৪৪.২৮
চাঁদপুরা ৩২২৩.৮৬৮৮৭৭৮৫৭৭৫৯.৪৭
টুঙ্গিবাড়ীয়া ৯৪২০.১৩১০৪৭৭১০৪৬৬৫৩.৭৬
দপদপিয়া ১৫ (আংশিক)৪.৭৪২৫৫৩২৬৬৫৬৮.৬১

সূত্র : আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

BandarThanaBarisal.jpg

শিক্ষার হার: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৫.৮৪%; পুরুষ ৫৭.১১%, মহিলা ৫৪.৫৩%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: শরীর চর্চা কলেজ, জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা : বরিশাল নদীবন্দর, কাউয়ার চর ফেরীঘাট, স্টিমাররঘাট, সাহেবের হাট বন্দর, লাহারহাট বন্দর ও ফেরীঘাট।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস: কৃষি ৩৬.৯০%, অকৃষি শ্রমিক ৬.৪৭%, শিল্প ১.৩৩%, ব্যবসা ১৯.৪৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.৯০%, চাকরি ১৫.০৮%, নির্মাণ ২.৮০%, ধর্মীয় সেবা ০.১৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৮৫% এবং অন্যান্য ১২.০৩%।

কৃষিভূমির মালিকানা: ভূমিমালিক ৪৫.৮১%, ভূমিহীন ৫৪.১৯%।

প্রধান কৃষি ফসল: ধান, পাট, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি: ডাল, কাউন, তিসি।

প্রধান ফল-ফলাদি: আম, কাঁঠাল, লিচু, পেঁপে, জাম, নারিকেল, সুপারি।

মৎস্য: গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ২২, মুরগি ১০।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন: গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।

কুটিরশিল্প: লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প,  বেতের কাজ।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য: ধান, শাকসবজি।

বিদ্যুৎ ব্যবহার: এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪০.৬৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস: নলকূপ ৮৯.৮৬%, পুকুর ৭.৩৭%, ট্যাপ ০.৩৮% এবং অন্যান্য ২.৩৯%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা: এ উপজেলার ৩৩.৯২% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৭.০৩% পরিবার অস্বাস্থাকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৯.০৫% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। [আক্তারউদ্দিন চৌধুরী]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।